আপনি হয়ত প্রশ্ন করেন কোন লেন্সগুলো আপনার জন্যে কেনা সঠিক হবে । আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি লেন্স কিনতে পারেন। যারা ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনেছেন তারা ভাবছেন কোন লেন্সটি এখন আপনার কেনা উচিত। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে লেন্সের ফোকাল লেংথ সম্পর্কে। এছাড়া লেন্সের চরিত্র ও বৈশিস্ট্য জানা ও বোঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ফোকাল লেংথ: এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফোকাল লেংথ কি, কেন আমার জানা দরকার ? খুব সহজভাবে চিন্তা করলে ফোকাল লেংথ সম্পর্কে বলা যায়, লেন্সের একদম সামনের দিকে প্রথম গ্লাস এ্যালিমেন্ট থেকে পয়েন্ট অফ ফোকাস এর মধ্যকার দূরত্বকে বোঝায়। এ দূরত্বকে মিলিমিটার (এমএম) দিয়ে পরিমাপ করা হয়। সাধারনভাবে বলা যায়, সবচেয়ে বড় মিমি মানে সবচেয়ে বেশী বড় আকৃতি করে দেখা। ফোকাল লেংথ দিয়ে বোঝা যায় আপনি আপনার ছবি তোলার সময় এক দৃশ্যের কতটুকু অংশ চিত্রাকারে ধারন করতে পারবেন। ওয়াইড লেন্স দিযে আপনি একটি দৃশ্যের অনেক বেশী অংশ চিত্রাকারে ধারন করতে পারবেন। সাধারনত আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ ছবি তুলতে এই ওয়াইড লেন্সের বেশী ব্যবহার করা হয়। টেলিফটো লেন্স আপনার সাবজেক্টকে বড় করে উপস্থাপন করবে। যখন আপনি কোন সাবজেক্ট এর খুব কাছাকাছি যেতে পারবেন না তখন আপনাকে এই টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করতে হবে। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির জন্যে টেলিলেন্স আদর্শ লেন্স।
এখন আপনার জানব বিভিন্ন ধরনের লেন্স সম্পর্কে এবং আরো জানব কিভাবে এই লেন্স আপনার কোন ধরনের ছবি তোলার কাজে আসবে ।
লেন্সের প্রকারভেদ:
ফিক্সড ফোকাল লেংথ ( ফিক্সড বা প্রাইম লেন্স এবং সাধারন লেন্স) কিছু লেন্স আছে সেগুলো একটা মাত্র ফিক্স ফোকাল লেংথ তাই সেগুলো জুম করা যায় না এ ধরনের লেন্সকে বলে ফিক্সড বা প্রাইম লেন্স। এই ফিক্সড বা প্রাইম লেন্সগুলো সাধারনত ভালো ইমেজ , হাইয়ার লাইট সেনটিভি ইত্যাদি নিশ্চয়তা প্রদান করে। ফিক্সড বা প্রাইম লেন্স পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্যে আর্দশ লেন্স। শর্ট রেঞ্জ জুম (জুম বা কম্প্যাক্ট জুম লেন্স) সব ধরনের ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে একটা স্ট্যান্ডার্ড লেন্স হচ্ছে কিট লেন্স যেমন ক্রপ বডির ক্ষেত্রে ১৮-৫৫ (৩এক্স অপটিকাল জুম পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরার ক্ষেত্রে) জনপ্রিয় কিট লেন্স। অল্প একটু জুম ইন এবং জুম আউটের জন্যে শর্টরেঞ্জ লেন্স জুম খুবই কাজের। বারবার লেন্স পরিবর্তন না করে এই ধরনের লেন্স ব্যবহার করে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে সহজে ছবি তোলা যায়।
লং রেঞ্জ জুম (টেলিফটো এবং জুম লেন্স)
একটি জুম লেন্স দিয়ে আপনি ফোকাল লেংথ পরিবর্তন করে সহজে দূরের বিষয়টাকে কাছে আনতে পারবেন যা আপনার ছবির বিষয়বস্তু দারুন প্রাণবন্ত করতে পারবে। যখন আপনি জুম ইন করবেন ফোকাল লেংথ বেড়ে যাবে মানে দূরের জিনিষ কাছে চলে আসবে এবং জুম আউট করলে ফোকাল লেংথ কমে যাবে যার মানে হলো, কাছে জিনিষ দূরে চলে যাবে। সাধারনত ৭০-২০০ কিংবা ততোধিক (৬০০মি.মি. পর্যন্ত) লং রেঞ্জ জুমগুলো দারুন একটা ড্রামাটিক মুহূর্ত এনে দেয়। অনেক দূরের জিনিষ কাছে টেনে আনে ফোকাল লেংথ বেড়ে যাওয়ার কারনে ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পূর্ণ ব্লার হয়ে যায় যার ফলে মূল বিষয় অনেক বেশী প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। বিশেষত লং রেঞ্জ জুম কিংবা টেলিফটো লেন্সগুলোর ফোকাল লেংথ ৭০ মি.মি এর অধিক হয়ে থাকে। এই লং ফোকাল লেংথের জন্যে অতিরিক্ত ব্লারি বা ঘোলা ছবি তোলা, এমনকি রাতের কম আলোতেও। নতুন মডেলের টেলিফটো লেন্সগুলোর সাথে ভিআর বা আইএস সুবিধা সংযুক্ত করা হয়েছে যা ঝাঁকিজনিত অসুবিধা অনেক কমিয়ে এনেছে। সাধারনত ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফি ও স্পোর্টস ফটোগ্রাফিতে এই ধরনের লেন্স বেশী ব্যবহার করা হয়।
স্পেইশালাইজড লেন্স (ম্যাক্রো লেন্স, ফিস আই লেন্স এবং আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স)
ম্যাক্রো লেন্স সাধারনত খুব কাছের ও ক্ষুদ্র কোন কিছু ছবি তুলতে ব্যবহার হয়ে থাকে যেমন: মশা-মাছি, মৌমাছির বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, ফুলের কেশর ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ফিস আই লেন্স সাধারনত আর্টিস্টিক ডিসটোশন ছবি তোলা কাজে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি মনে করেন ৩৬০ ডিগ্রি ফটোগ্রাফি করবেন তাহলে এ লেন্স খুব দরকারী।
আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স মূল ল্যান্ডস্কেপ, গ্রুপ ফটোগ্রাফিতে বেশী ব্যবহৃত হয়। অনেক বেশী ওয়াইড ছবি তোলার জন্যে আল্ট্রা ওয়াইড এ্যাঙ্গেল ব্যবহৃত হয়। অল্প জায়গাতে শ্যুট করতেও ব্যবহার করা হয়। যত কম ফোকাল লেংথ হবে তত বেশী ওয়াইড হবে। ১৮ এম.এম বা ২৮ এম.এম এর কমগুলোকে ওয়াইড লেন্স বলা হয়। এই ওয়াইড লেন্স দিয়ে সবাইকে সুন্দরভাবে ফ্রেমে বন্দী করা যায়।
লেন্সের যত বড় এ্যাপাচার ও দামী এলিমেন্ট দ্বারা তৈরী হবে তত বেশী দাম পড়বে।
দারুন হইছে ভাইয়া…
সুন্দর লেখা । দরকারি
Thanks for sharing.
ধন্যবাদ, অনেক কিছু শিখতে পারলাম
thnks …