ফটোগ্রাফির চাইর নম্বর পাঠ – ফয়সাল আকরাম ইথার

আই.এস.ও (ISO)

এই একটা ছোট্ট জিনিষ বাকি এক্সপোজার নিয়া আলোচনার আর সেইটা হইলো আই.এস.ও। ছোট্ট নাম হইলেও এর ক্ষমতা ব্যাপক। আই.এস.ও নামের ইতিহাস না বইলা সরাসরি চইলা যাই জিনিষটা কি সেইটাতে (ইতিহাস জানতে চাইলে উইকিপেডিয়ায় সার্চ মারেন..আমি আবার এট্টু আইলশা কিসিমের :D)।

আই.এস.ও হইলো ফ্লিম বা সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী (আবারো কুনো বেদীর কথা ভাবতাসেন !! সি সি সি :P) সেইটা । একটা ফ্লিম যদি বেশী আলোক সংবেদী হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে ওইটা কম আলোতেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাইতে পারবো। আর যদি কম আলোক সংবেদী হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে এইটাতে রিয়েকশন ঘটাইতে হইলে অনেক বেশি “পরিমান” আলো বেশি “সময়” ধইরা ফেলা লাগবো। আশা করি সময় আর পরিমান ক্যামারায় কি দিয়া কন্ট্রোল করন যায়, সেইটা এখন জানেন। ( ফিস ফিসঃ পরিমান কন্ট্রোল করে এপারচার দিয়া আর সময় কন্ট্রোল করে শাটার স্পিড দিয়া আর আমারে কন্ট্রোল করে ডিম্ভাজি দিয়া)

জিনিষটা অনেকটা এইরকম যে, আমার অনেক কাতুকুতু। কেউ আমারে কাতুকুতু দেওনের ভাব করলেও আমি লাফ দিয়া উঠি। অথচ গন্ডাররে এই কামটা করতে গেলে আপনারে পাত্তাও দিবনা। এর মানে হইলো আমি বেশি কাতুকুতু সংবেদী, আমারে হাসাইতে হইলে কম কাতুকুতু দিলেই চলে। আর গন্ডার মামু কম কাতুকুতু সংবেদী, তারে হাসাইতে বেশী কাতুকুতু দেওন লাগে (অবশ্য সারা জীবনও পার হইয়া যাইতে পারে..খিক খিক :D)

যাউকগা আই.এস.ও তে ফিরা আসি। ফ্লিম ক্যামেরার ক্ষেত্রে , অ্যাপারচার আর শাটার ক্যামেরাতে থাকলেও আই.এস.ও জিনিষটা হইলো ফ্লিমের একটা প্রপার্টি। ফ্লিম কেনার সময় দোকানদাররে হ্য়তো বলতে শুনসেন ১০০ পাওয়ারের ফ্লিম, ২০০ পাওয়ারের ফ্লিম। ফ্লিমের গায়েও লেখা থাকে (ডিজিটালের ক্ষেত্রেও একি জিনিষ শুধু ফ্লিমের জায়গায় সেনসর)। ১০০ বা ২০০ ই হইলো ওই ফ্লিমটার আই.এস.ও। আই.এস.ও এর মান যা যা হইতে পারে তা হইলো ১০০,২০০,৪০০,৮০০,১৬০০, … ইত্যাদি। খেয়াল করেন এপারচার আর শাটার স্পিডের মতো, ডাবল বা অর্ধেক হওয়ার ব্যাপারটা এইখানেও আছে।

আই.এস.ও ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। তো যেখানে অনেক বেশী আলো আছে (যেমন বিয়া বাড়ি বা সূর্যোজ্জল দিন) ওই খানে তো আমার বেশী আলোক সংবেদনের দরকার নাই, তাই আমরা আই.এস.ও ১০০ বা ২০০ ব্যবহার করি। আবার ধরেন আন্ধার রাইতে অনন্ত জলিল বাই এর হাতের জলন্ত মুমবাতির ফটুক তুলতে গেলে আই.এস.ও বাড়ায়া ৮০০/১৬০০ করন লাগতে পারে।

আই.এস.ও বাড়ানির একটা ঝামেলাও আসে। ঝামেলাটা হইলো, আই.এস.ও যতো বাড়াইবেন, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে। তাই আই.এস.ও বাড়ানির সময় খিয়াল কইরা….

আইজ্জা এদ্দুরি থাক। আপ্নে এইবার Aperture, Shutter আর ISO এই তিন্ডা এট্টু রিভাইজ দেন। আগামি লেখা ডা বুঝতে কামে দিব।

2 thoughts on “ফটোগ্রাফির চাইর নম্বর পাঠ – ফয়সাল আকরাম ইথার

Leave a Reply