– ভাই এক্সজিবিশনে ছবি দিবো। কইলো ৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল ২০০ ডিপিআইয়ে দিতে। ভাই পিক্সেল কি?
আমি কইলাম,
– বাথরুমে যখন বসেন তখন দেখেন টাইলসের মতন চারকোণা বক্স। ওদির মতন দেখতে পিক্সেল। একটা ছবি হইতেছে সেইরকম অনেকগুলো টাইলসের সমষ্টি মানে পিক্সেলের সমষ্টি।
পিক্সেল যত বেশী তত বেশী শার্প ছবি। মানে ছবি যত বড় করবে তত কম ফাটবে।
ডিপিআই মানে হচ্ছে, ডট পার ইঞ্চি। যা প্রিন্টের সময় দরকার হয়। যত বেশী ডট তত ঘন প্রিন্ট।
তবে, ছবির পিক্সেল কম থাকলে যত বেশী ডিপিআই দেওয়া হোক না কেন ছবি অস্পষ্ট মনে হবে। তাই ছবির পিক্সেল স্ট্যান্ডার্ড হওয়া চাই।
এবার অংকে আসি, ছোটবেলায় জ্যামিতির ক্ষেত্রফলের কথা মনে আছে? দৈঘ্য X প্রস্থ = ক্ষেত্রফল। ভার্টিকাল অংশ দৈঘ্য আর হরাইজন্টার অংশ প্রস্থ।
দৈঘ্য X প্রস্থ এর জন্য ১০টা টাইলস নিলাম মানে আর কি। তাহলে ১০ X ১০ = ১০০ পিক্সেল একটা ছবি পেয়ে গেলাম। এবং সেটার ভিতর যদি প্রিন্ট দেই সেখানে ১০ X ১০ = ১০০ ডট দিতে হবে।
তাহলে, সমীকরণ দাঁড়ালো,
পিক্সেল / ডিপিআই
= ১০০ পিক্সেল/ ১০০ ডিপিআই
= ১ ইঞ্চি।
আমরা পেয়ে গেলাম ১ ইঞ্চির প্রিন্টেড ছবি।
অনেক সময় ক্যামেরার গায়ে লেখা দেখবেন ২০ মেগাপিক্সেল। এর মানে ১ মেগা পিক্সেল হলো ১ মিলিয়ন পিক্সেল মানে ১০ লাখ পিক্সেল। আপনি বের করে ফেলতে পারবেন ৫০০০ পিক্সেল X ৪০০০ পিক্সেল = ২০ মেগাপিক্সেল।
এখানে আমরা ডিপিআই লাগিয়ে দিয়ে প্রয়োজন মতন সাইজ প্রিন্ট দিতে পারবো।
আপনি এখন সহজে বের করতে পারবেন, ৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল ছবিতে ২০০ ডিপিআই দিলে কত সাইজ প্রিন্টেড ছবি বের হবে তা আমি নিচে সমীকরণে মিলিয়ে দিলাম,
৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল / ২০০ ডিপিআই
= ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি ।
আপনার ছবির সাইজ হচ্ছে, ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি।
আশাকরি, পিক্সেল ও প্রিন্ট সাইজের ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
হ্যাপি ক্লিকিং