আজকের লেন্সগল্প : ৩ সুন্দরী লেন্স বা পোট্রেট লেন্স – অয়ন আহমেদ

আমরা যখন শখে প্রিয়জনদের বা পেশাগতভাবে কারোর একলা ছবি তুলি তখন প্রায়ই ৫০ মি.মি প্রাইম লাগাই। কেন লাগাই? একটা বড় কারন পিছে ঘুলা হয়ে যাবে মানে ব্যাকগ্রাউন্ড বুকেহ, আউট অফ ফোকাস হয়ে যাবে। যার ফলে সাবজেক্টটাকে অনেক প্রাণবন্ত লাগে। তাছাড়া ছবিতে মডেলরে এক্সট্রা মোটা লাগে না কারন ৫০ মি.মি লেন্স এ ডিসর্টসন নাই। ডিসর্টসন মানে বেকাবুকা, টেরাটুরা, মোটামাথা এর রকম লাগবে মূল সাবজেক্টাকে। এর কারন ওয়াইড ফোকাল লেন্থ এর জন্যে। যাই হোক বেশীরভাগ প্রাইম লেন্সগুলান এই বাঁকাবুকার ঝামেলা থাকে না। তবে কিছু জুম লেন্স আছে যেমন ১৭-৫০ ট্যামরন যা দিয়ে আমি যতবার তোমার ভাবির ছবি তুলেছি আমাকে বকাঝকা দিয়েছে,“আমাকে এত মোটা বানাইছো ক্যান” ? এইটা মূল কারণ ছিল ওই ডিসর্টসন। এছাড়া টেলিলেন্স যেমন ধরো ইএফএস ৫৫-২৫০ যা দিয়ে খুব সুন্দর আপাগ্রাফী ও ভাইয়াগ্রাফী করতে পারবেন। ডিসর্টসন নাই কোন। শুধু দুঃখের বিষয় এ্যাপাচার বড় না থাকার কারনে অনেক আলোর দরকার পড়ে। তাই ইনডোর শুটিং এ পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করতে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে হবে। আরো মজার ব্যাপার আছে ইএফএস লেন্স কিন্তু ক্রপ বডির কথা চিন্তা করে বানানো হয়। যেসব লেন্স এর গায়ে লাল বিন্দু মার্কা দাগ পাবেন সেগুলা ক্রপ ও বনেদী মানে ফুল ফ্রেম বডিতে সার্পোট করবে। জগতের সকল সুন্দরীদের ছবি তুলতে যেই লেন্স ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে সুন্দরী লেন্স বলে যেমন প্রাইম ৫০, প্রাইম ৮৫, প্রাইম ১৩৫, ২৪-৭০, ৭০-২০০ ইত্যাদি জনপ্রিয় সুন্দরী লেন্স। এগুলো জনপ্রিয় হওয়ার একটাই কারণ সুন্দর রং ও বুকেহ পাওয়া যায় এবং এগুলোর এ্যাপারচার বড় হয়ে থাকে এফ১.৮ ও এফ২.৮। শুধু ‍সুন্দরীদের ছবি তোলা হয় তা কিন্তু নয় সুন্দরদেরও ছবি তোলা হয়। তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সুন্দরীরা মডেল থাকে তাই আরকি সুন্দরী লেন্স নাম দেওয়া।

Leave a Reply