আপনারা যারা ফটোগ্রাফির জগতে নতুন এবং ফটোগ্রাফি শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য ছোট্ট এই লেখা। অনলাইন এ এখন বেসিক ফটোগ্রাফির ওপর অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। শেখার জন্য এইগুলি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এইগুলি আগে ভাল করে পড়ুন, শিখুন এবং প্র্যাকটিস করুন। তারপর যখন বেসিক ফটোগ্রাফির সম্পর্কে মোটামুটি একটা আইডিয়া তৈরি হবে তখন সিনিওর এবং সফল ফটোগ্রাফারদের ফটো দেখুন বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ। এইগুলি আপনার ফ্রেম সেন্স, কম্পজিশন আর লাইট সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াবে, আপনাকে চিন্তা করতে শিখাবে কিভাবে একটা ছবিকে দেখতে হয় আর ক্যামেরায় ধারন করতে হয়। তারপর আরও প্র্যাকটিস, যদি আপনার মাথায় তখনও ফটোগ্রাফির ভুত থাকে। আপনি যত তাদের মত ছবি তুলতে চাইবেন ততই দেখবেন ফটোপ্রসেস নামের একটা বস্তু আপনার মাথায় ঘুরা ঘুরি শুরু করেছে। একটা ছবি কে দৃষ্টি নন্দন করে উপস্থাপন করার জন্য ফটো প্রসেসিং ফটোগ্রাফির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ক্ষেত্রে আবার সেই অনলাইন টিউটোরিয়াল আপনাকে সাহায্য করবে ফটো প্রসেস শিখতে।
ফটোগ্রাফি শেখার কোন সোজা সরল পথ নাই। এই জন্য আপনাকে এইটার পিছনে লেগে থাকতে হবে। লেগে থাকা বলতে আমি ওপরের উল্যেখ করা ধাপ গুলির কথা বুঝিয়েছি। লেগে থাকা মানে এই নয় যে একটা ডিএসএলআর কিনলাম আর সারাদিন গলায় ঝুলায় হাবিজাবি তুলে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গ্রুপ গুলিতে আপলোড দিয়ে বসে থাকলাম। একটা “অমুক ফটোগ্রাফি” নামে পেজ খুলে বন্ধু বান্ধবের শত শত লাইক পেয়ে “আমি কি হনু রে” ভাব নিয়ে নিজের প্রফাইলে “ফটোগ্রাফার অফ অমুক ফটোগ্রাফি” লিখে প্রফাইল আপডেট দিয়ে দিলাম। কোন পেজ এ নিজের তোলা ওইসব ছবি এপ্রুভ না হলে পেজ এডমিন দের গুষ্টি উদ্ধার শুরু করে দিলাম আরেক পেজ এ যেয়ে। ফটোগ্রাফি একটা শিল্প। এডমিনদের অথবা সিনিয়র ফটোগ্রাফার দের ট্যাগ মেরে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ক্রিটিক জেনে ভুল শুধরে ভাল ফটোগ্রাফার হবার আশা করে থাকলে আপনার ফটোগ্রাফির চর্চা আজকেই বাদ দেওয়া উচিত। আগে নিজে চর্চা করুন, পড়ুন এবং শিখুন প্রথম পাঠ। অনলাইনে না শিখতে চাইলে প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যান যারা এই বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স করায়। “সা রে গা মা পা ধা নি সা না” শিখে ওস্তাদ কে শুধু যদি জিজ্ঞস করেন আপনার “গা” আর “ধা” এর উচ্চারন ঠিক আছে কিনা তাহলে একসময় দেখবেন আপনার মধ্যে থেকে ” সা রে মা পা নি সা” চিরতরে চলে গেছে শুধু আছে অই “গা” আর “ধা”।
হ্যাপি ক্লিকিং
শাহাদাত হোসেন