HDR (High Dynamic Range)
খুব সোজা ভাষায় বললে আমারা স্বাভাবিক চোখে আলোর বিপরীতে থেকে ও যেমন দেখি ছবিতে তেমন করে দেখানোর যে কৌশল সেটাই হল HDR. সাধারণত ল্যান্ডস্কেপ টাইপ ছবির ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ অনেক বেশী হলেও আলোর খেলা থাকা ছবির মাঝে এই কৌশল ছবির এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
আর তাই আমাদের অনেকের কাছেই এই ধরনের ছবি অনেক বেশী ভালো লাগে, কিন্তু এই কাজটা একটু ঝামেলার আর সময় সাপেক্ষ বলে ঠিক করা হয়ে উঠে না, মাঝে মাঝে এমন হয় একটা ছবি যেটা HDR করলে ভালো লাগতো কিন্তু সঙ্গে ট্রাইপড না থাকায় আর করা হয়ে না, আফসোস থেকেই যায়। আর আমার মত কিছুটা অলস টাইপ মানুষের ক্ষেত্রে ব্যপারটা অনেক বেশী ঘটে।
তাই বলে কি আমারা HDR করবো না !!!
এইটা ঠিক মেনে নিতে পারছিলাম না তাই ভাবতে লাগলাম আর ভাবতে ভাবতে একটা পথ খুঁজে পেয়ে গেলাম।
আর নিজে নিজেই ট্রাই করলাম এই পদ্ধতি আর ফাইনাল্লি এর আউটপুট দেখে নিজেই ফিদা।।
আজকে তাই আমি সেই পদ্ধতি টাই আপনাদের সবার সঙ্গে শেয়ার করবো।
যাতে খুব সহজেই আমারা যে কেউ করে ফেলতে পারি সিঙ্গেল ইমেজ HDR।।
এই কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন হাতে অনেকটা সময়
আর লাইটরুম সফট আর ফটোমেট্রিক্স অথবা নিক এইচ ডি আর প্রো এর মত কোন সফটওয়ার।
কাজ এর ধারাঃ
যে ছবিটি HDR করবেন ভেবে তুলবেন সেটি একটু আন্ডার এক্সপজারে তুলবেন যাতে হাইলাইটস জলে না যায়। আবার এতটা কমও না যাতে শেডও হারিয়ে যায়।
২। লাইট রুমে ইমপোর্ট করে প্রথমিক প্রোসেসিং (লাইট কিংবা শেড বাড়ানো কমানো কোন কাজ করা যাবে না)
শেষে বিভিন্ন এক্সপোজারে (+৫, +৪, +৩,+২,+১,০, -১,-২,-৩,-৪,-৫) ৪-৬ টি ছবি এক্সপোর্ট করুন।
লক্ষ্য রাখেবনঃ
৩। + এক্সপোজারে এক্সপোর্ট দেয়ার সময় শেডও বাড়িয়ে দিন প্রয়োজন মত। তবে এমন বারাবেন না যাতে ডিটেইলস চলে যায়।
৪। – এক্সপোজারে এক্সপোর্ট দেয়ার সময় হাইলাইটস, লাইট এবং ক্লিয়ারিটি একটু বাড়িয়ে দিন তবে খুব বেশী না।
৫। ০ এক্সপোজারের তোলা ছবিটির লাইট এবং প্রোসেসিং এমন ভাবে করবেন যা আপনি HDR না করে যদি শুধু একটা ছবির প্রোসেসিং করার ক্ষেত্রে যেমন করতেন।
শেষে সব গুলো ছবি আপানার পসন্দের HDR সফটাওয়ারে নিয়ে নিয়ে রেডি করে ফেলুন আপনার কাঙ্খিত হাই ডেফিনেশান র্যঞ্জ এর ছবি।
আর পেতে থাকুন লাইক আর লাইক…
আচ্ছা বিশ্বাস হচ্ছে না… ??
এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে আমার করা একটা সিঙ্গেল ইমেজ HDR দিলাম।
আশা করি আপনার ও এই শর্টকাট ভালো লাগবে। আর আপনি ও করবেন চোখ ধাঁধানো সব HDR.