স্পিড লাইটের টিটিএল, ম্যানুয়াল ও অটো ফোকাস মোড – আসাদুজ্জামান পাপ্পু

TTL (Through The Lens Metering System)এটি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক এবং ফ্ল্যাশ নির্মাতার উপর নির্ভরশীল একটি ফ্ল্যাশ যোগাযোগ প্রযুক্তি . উদাহরণস্বরূপ একটি নিকন উউজার হন এবং TTL ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে একটি নিকন ব্র্যান্ড ফ্ল্যাশ, বা পরিষ্কারভাবে ‘’For Nikon Cameras’’ লেখা কোন ফ্ল্যাশ ব্যাবহার করতে হবে।

এটি এমন একটু প্রজুক্তি যার মাধ্যমে আপনার ফ্ল্যাশ এবং ক্যামেরা প্রতিটি ব্যপারে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারবে। এক্সপোজার, আপনার লেন্সের জুম সেটিং, অ্যাপারচার এমনকি সঠিক ছবি তোলার জন্য কত আলো প্রয়োজন সবকিছু।
আমি এখনে প্রক্রিয়া টি মুলত এই ভাবে কাজ করে টা পর্যায় ক্রমে বলছি।।
১. আপনি যখন আপনার ক্যামেরা শাটার বোতাম অর্ধেক চাপবেন.
২. একটি প্রি-ফ্লাশ ফায়ারড হবে
৩. আলো সম্পূর্ণ ফ্রেম ঘুরে সাবজেক্ট এ প্রতিফলিত হয়ে আবার ল্যান্স এ আসবে যাতে করে ক্যামেরা বুঝবে কোন বস্তু কতটা উজ্জ্বল।(কোন বস্তুর রঙ নির্ধারিত হয় তার আলো প্রতিফলন করার ক্ষমতার উপর)
৪. ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশ মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিবে সঠিক এক্সপোজার জন্য ঠিক কতটুকু আলো প্রয়োজন।
৫. আপনার ক্যামেরার শাটার খুলে যাবে।
৬. এবার দ্বিতীয় বার ফ্লাশটি জলে উঠবে দৃশ্যটি expose করার জন্য।
৭. শাটার বন্ধ
আর এইভাবেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ছবি। এই পুরো প্রক্রিয়া সংঘটিত হবে মুহূর্তের মধ্যেই।

এই প্রক্রিয়ার কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে.

উপকারিতা:
• বেশ দ্রুত on-the-go ছবির জন্য প্রযুক্তিটি বেশ কার্যকর।
• হিশাব-নিকাশ এর ঝামেলা নেই, দ্রুত অটোমেটিক পদ্ধতি

অসুবিধা :
• এটি শুধুমাত্র +৩ থেকে -৩ পর্যন্ত এক্সপজার পরিবর্তনের মাঝে ১/৩ স্টপ পর্যন্ত এর হ্রাস বৃদ্ধি ঘটিয়ে কাজ করে কিন্তু বেশীরভাগ কমেরাই ১৮% গ্রে স্কেল অনুসারেই মিটারিং করে থাকে তাই আলো নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা এর অনেক কম হয়।
• খুব কাছে থেকে সঠিক এক্সপোজার করা প্রায় অসম্ভব।

আশা করি আপনি বুঝেগেছেন TTL কিভাবে কাজ করে।

ম্যানুয়াল পাওয়ার সেটিং TTL সিস্টেম এর ঠিক বিপরীত, এখানে ১/১ বলতে পূর্ণ ক্ষমতা ধরে ১/২ বলতে অর্ধেক আর এভাবে ১/৪ বলতে পূর্ণ ক্ষমতার ৪ ভাগের এক ভাগ, এখানে আপনি মূলত নিয়ন্ত্রন করবেন আপনার ফ্লাশ ঠিক কতটুকু প্রসারিত আলো দিবে, যেমন আপনি যদি ২৪মি মি সেটিং রাখেন তবে এটি অয়াইড ভাবে আলো দিবে আর যদি ১০৫মি মি রাখেন তবে অনেক সঙ্কীর্ণ জায়গা আলো দিবে। এই পদ্ধতিতে আপনি যেকোনো কোম্পানির তৈরি ফ্লাশ ব্যাবহার করতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়ার কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে.

উপকারিতা:
• সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন
• ইচ্ছেমত বিভিন্ন লাইট উপকরণ ব্যাবহার করে ছবি তুলতে পারা।
অসুবিধা :
• অধিক সময় লাগে তাই তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতিতে অসহায় ।

One thought on “স্পিড লাইটের টিটিএল, ম্যানুয়াল ও অটো ফোকাস মোড – আসাদুজ্জামান পাপ্পু

  1. Saddam Hussain

    একটা ব্যাপার এ খটকা থেকেই গেলো। সেটা হচ্ছে, আমি যদি ক্রপ বডি তে ফুল ফ্রেম এর লেন্স ইউস করি.. ধরেন, D90 তে 50 প্রাইম -> 1.5*50=75mm হয়, তাহলে ম্যানুয়াল ফ্ল্যাশ এ কি জুম 50 থাকবে নাকি 70 থাকবে ?

Leave a Reply