রুল অফ থাম্ব বা ফোকাল লেন্থ বনাম শাটার স্পিড রুল ১/ফোকাল লেন্থ রুল বলে দিবে কতটুকু স্লো শাটার স্পিডে আপনি হান্ডহেল্ড ফটোগ্রাফিতে শার্প ফটো পেতে পারেন। হ্যান্ডহেল্ড ফটোগ্রাফিতে ঝাঁকিজনিত কারণ ও গতিময় সাবজেক্টের জন্য ছবি মোশন ব্লার হতে পারে। এজন্য রুল অব থাম্ব এ্যাপ্লাই করে এ ধরণের ঝামেলা দূর করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি ৫০ প্রাইম দিয়ে একটা পোট্রেট তুলবেন তখন ফোকাল লেন্থ ৫০ এম.এম তখন ১:১ বা ১:২ অনুপাতে ফোকাল লেন্থ : শাটার স্পিড মানে ফোকাল লেন্থ যা হবে সেই অনুপাতে শাট স্পিড নির্ধারন করলেন যেমন: ৫০এম.এম ফোকাল লেন্থ তখন শাটার স্পিড হবে ১/৫০ তাহলে আপনি শার্প ফটো পাবেন। আপনি চাইলে ১/৮০ বা ১/১০০ করতে পারেন তবে ১/৪০ বা ১/২০ করতে যাবেন না তাহলে ছবি শার্পনেস হারাতে পা্রে। আমি নিচের ছবিতে মডেলের হাতে ধরে থাকা ক্যামেরার লেখাকে ফোকাস করে ছিলাম। প্রথম ছবিতে স্লো শাটারে তোলাতে ঝাঁকিজনিত কারণে লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে আছে। দ্বিতীয় ছবিতে শাটার স্পীড বাড়িয়ে দেবার কারণে লেখাগুলো স্পষ্ট হয়েছে।
https://www.flickr.com/photos/ayonimages/26149422270/in/dateposted-public/
আরো উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, যেমন ধরেন টেলিলেন্স ব্যবহার করে ছবি তুলতে গেছেন, ফোকাল লেন্থ ২০০ এম.এম। এই রুল অনুযায়ী ১/২০০ এর নিচে মানে ১/১৮০ তে শ্যুট করবেন না। ১/৪০০ বা ১/৬৪০ তে শ্যুট করতে পারেন। আপনার প্যানিং করে ছবি তুলে পরীক্ষা করে দেখতে পাবেন। গতিময় বিষয় স্লো শাটারে ছবি কেমন আসছে।
আলোর পর্যাপ্ত পরিমাণ নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করতে পারেন। আলোর পরিমাণ ঘাটতি হলে শাটার স্পিড বেশী থাকার কারণে আইএসও বেড়ে যাবে এতে ছবিতে নয়েজ চলে আসতে পারে। যদি নয়েজ সমস্যা মনে হয় তাহলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন আর তা না হলে নয়েজ কোন মাথা ব্যথা হবার মতন সমস্যা নয়।
রুল অফ থাম্ব অনুযায়ী কিছু প্রশ্ন আপনার আসতে পারে যেমন: ১. ক্রপ সেন্সরের ক্ষেত্রে কি ক্রপ ফ্যাক্টর যোগ হবে? ২. ইমেজ স্ট্যাবিলাইজিং এর ক্ষেত্রে স্লো শাটার স্পিড কিছুটা শার্পনেস কমিয়ে দিতে পারে? ৩. লং এক্সপোজার ও খুব দ্রুত শাটার স্পিডের ক্ষেত্র এই রুল ব্রেক হতে পারে? এই তিনটি প্রশ্নের একটাই উত্তর হবে, “হ্যাঁ” ।
এই রুল মেনে যে ছবি তুলতে হবে তা কিন্তু নয় আপনি যদি রুল ব্রেক করে আরো ভালো তুুলতে পারেন তাহলে ব্রেক ডা রুল।
হ্যাপি ক্লিকিং