এসো নিজে করি: লোকাল ডিজিটাল ডেসিকেটর বক্স – অয়ন আহমেদ

তোমাদের সবার মনে আছে কি? আমরা ছোটবেলায়  ‌’এসো নিজে করি’ জাতীয় অনেক কিছু সমাধান করেছি। আজ আমার হঠাৎ মনে পড়লো আমরা যদি ফটোগ্রাফি নিয়ে এমন কিছু করি কেমন হয়। যেমন ধরো: নিজে নিজে ঘরে বসে ডেসিকেটর বানিয়ে ফেললাম। ভবিষ্যতে এরকম অনেক কিছু বানানোর টিপস্ দিব যা তোমাদের অনেক উপকারে আসবে। ডেসিকেটর বানানোর টিপস্ আগে জিএইচ ফেইসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল। নতুন কিছু মাথায় আপতত কিছু আসছে না তাই আবার শেয়ার করলাম।

 নিজের হাতে বানিয়ে ফেলুন  লোকাল ডিজিটাল ডেসিকেটর বক্স। প্রস্তত মূল্য আনুমানিক ১,৩০০ টাকা।

উপাদান:

প্রথমে একটা এয়ার টাইট বক্স কিনবেন পারটেক্স কোম্পানীর ৮ লিটার বক্স, দেখতে শুনতে ভালো, শক্ত পক্তো, মূল্য ২৭০ টাকা। টিপু সুলতান রোডের থেকে কিনেছি। লবন ১৩৫ গ্রামের কৌটা কিনেছি দুইটা মূল্য ৩০ টাকা এবং তারপর হাটখোলা সিলিকা জেল কিনেছি ৫০০ মি:লি: যার মূল্য ১৮০ টাকা এবং একটা ফোম ফ্রি পেয়েছি অথবা হাত মোছার টাওয়েল হলেও চলবে। ঘর্ষন জনিত ক্ষতি যাতে না হয় তাই আর একটু বাড়তি সাবধানতা । একটা হাইগ্রোমিটার যেইটা দিয়ে হিউমিডিটি মাপে এইটার মূল্য ৮২০ টাকা ।

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে বক্সটি খুলে পরিস্কার কাপড় দেয় সাফ করে নিতে হবে। তারপর ফোম বা গামছা রাখতে হবে। তারপর প্রতিটি লবন দানীর ভিতরে ১২৫ গ্রামের মতন সিলিকা জেল ঢেলে রেখে দুইটা লবন কৌটা কোনাকোনী ভাবে দুই মেরুতে রেখে দিতে হবে। তারপর প্রথমে হাইগ্রো মিটার অন করে রাখবেন। ঘন্টাখানিক পড়ে বন্ধ করে রাখতে পারেন। শুধু শুধু ব্যাটারী নষ্ট হবে। তারপর ক্যামেরা রাখবেন। এইভাবে আপনি সর্বোচ্চ চারটি লেন্স রাখতে পারবেন্। ক্যামেরার ব্যাটারী খুলে রাখবেন। এইভাবে হয়ে গেল ডিজিটাল ডেসিকেটর বক্স।

সর্তকতা:
আদ্রতা (হিউমিডিটি) ৩৫% এর নীচে গেলে লেন্সের ভিতেরে থাকা রিবন কেটে গিয়ে লেন্স অকেজো হয়ে যেতে পারে।ব্যাটারী ক্যামেরার বডি থেকে খুলে রাখতে হবে।

4 thoughts on “এসো নিজে করি: লোকাল ডিজিটাল ডেসিকেটর বক্স – অয়ন আহমেদ

Leave a Reply